Pages

রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৩

৫ম শ্রেনি,বাংলা, অধ্যায়- আমাদের এই দেশ


আস্‌সালামুআলাইকুম, ছোট্ট বন্ধুরা তোমরা সবাই নিশ্চয় ভাল আছো। আনেক পরাশোনা নিয়ে ব্যস্তা আছো। তোমাদের জন্য আজ আমি আইটি স্কুলের পোষ্ট শুরু করছি। তোমাদের পরিক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে অধ্যায় ভিত্তিক আলোচনা করব। নিশ্চই আমি তোমাদের সাহায্য করতে পারব ইনশাল্লাহ্‌.........................................


অধ্যায় : আমাদের এই দেশ 
২য় অংশ

৬. প্রশ্ন : কখন নবান্ন উত্সবে সবাই মেতে ওঠে ? এ দেশের কয়েক প্রকার ধানের নাম লিখ । 

উত্তর : ভূমিকা : আমাদের এ দেশকে বলা হয় প্রকৃতির রূপসী কন্যা । এ দেশের কৃষকেরা বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ধান চাষ করে থাকে । ধানের দেশ গানের দেশ আমাদের এ বাংলাদেশ । 

যখন নবান্ন উত্সবে মেতে ওঠে : বিচিত্র উত্সবের দেশ বাংলাদেশ । নানাবিধ সাংস্কৃতিক উত্সবের পাশাপাশি অন্যতম একটা উত্সব ‘নবান্ন উত্সব’।
হেমন্তে কৃষককুলের ঘরেআসে নতুন ধান । এ ধানের চালে তৈরি হয় নানা রকমের পিঠেপুলি ।সেই সাথে চলে উন্নতমানের খাবারের আয়োজন । নতুন ধান ওঠার পর সবকিছু মিলিয়ে যে উত্সবের সাড়া পরে কৃষক পল্লীতে মূলত তাই নবান্ন উত্সব । হেমন্তে নবান্ন উত্সবে সবাই মেতে ওঠে । 

ধানের নাম : এ দেশের উর্বর মাটিতে জন্মে নানা প্রকার ধান । এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল : পাইজাম, নাজিরশাইল, বিন্নি, কাটারিভোগ, বালাম, বিরি, বাসমতি, মানিকশোভা, কালিজিরা, বাদশাভোগ ইত্যাদি । 


উপসংহার : হেমন্তকালের নতুন ধানের মিষ্টিগন্ধে আমোদিত হয়ে কৃষকেরা নবান্ন উত্সবে মেতে ওঠে । 
                                 

৭. প্রশ্ন : আমাদের দেশের মেয়েরা অবসর সময়ে কী কী জিনিস তৈরি করে ? 

উত্তর : ভূমিকা : আমাদের দেশের মেয়েদের জীরন সহজ সরল । এরা শৈল্পিক চেতনার অধিকরী । অবসরে এরা নানা ধরনের শৌখিন জিনিস তৈরি করে থাকে । 

আমাদের দেশের মেয়েদের অবসর সময়ে তৈরি জিনিসপত্র : আমাদের দেশের মেয়েরা অবসর সময়ে যেসব জিনিসপত্র তৈরি করে সেগুলো নিচে বর্ণনা করা হল :- 

নকশি শিকা : পাটের আঁশ বিভিন্ন রঙে রাঙিয়ে তা দিয়ে মেয়েরা তৈরি করে নকশি শিকা । সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও আকর্ষণীয় করার জন্য শিকায় ঝিনুকের বোতাম, কড়ি ও পুঁতি লগানো হয় । 

নকশি কাঁথা : বাংলার মেয়েরা কাজের অবসরে সুচ ও সুতো দিয়ে সেলাই করে নকশি কাঁথা । লতাপাতা, ফুল, ধানের ছড়া, চাঁদ, তারা, পাখি ও আরও বহু প্রকার কারুকাজ ফুটিয়ে তুলে নকশি কাঁথায় । 

নকশি পাখা : রঙিন সুতো দিয়ে মেয়েরা তৈরি করে নকশি পাখা । সুতোর বুননে ফুল, পাখি, গাছ ও পাতার নকশা ফুটিয়ে তুলে নকশি পাখায় । 

শীতল পাটি : মেয়েরা বেত দিয়ে বোনে শীতল পাটি । রঙিন বেতের বুননে শীতল পাটিতে ফুটিয়ে তো‌লে পাখি, পালকি, মসজিদ, নৌকা, বাঘ, হরিণ ও বিভিন্ন ফুলের নকশা । 

উপসংহার : বাংলাদেশের মেয়েরা হস্তশিল্পে ও কুটির শিল্পে খুবই দক্ষ । তারা তৈরি করে আন্তর্জাতিক মানের সৌখিন জিনিস । যা দেশের মর্যাদা ও সম্মান বৃদ্ধি করে । এসব জিনিস তৈরির মাধ্যমে তাদের শৈল্পিক চেতনার বিকাশ ঘটে । 

৮. প্রশ্ন : কয়েক প্রকার বিখ্যাত কাপড়ের নাম লিখ । 

উত্তর : ভূমিকা : প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশের মানুষ কাপড় বোনার জন্য বিখ্যাত । এ দেশের মানুষ তাদের আপন মনের মাধুরি মিশিয়ে বিভিন্ন রঙের কাপড় তৈরি করে । 

কয়েক প্রকার বিখ্যাত কাপড়ের নাম : এক কালে এ দেশে মূ্ল্যবান মসলিন কাপড় তৈরি হত । তাঁতিরা এখনও রেশমি, জামদানি ও সুতি কাপড় বোনে । মসলিন, রেশম, তসর, গরদ, মুগা, মটকা, জামদানি, টাঙ্গাইল ও বালুচরী এ দেশের বিখ্যাত কাপড় । 

উপসংহার : কালের অনিবার্য প্রবাহে মসলিন কাপড় হারিয়ে গেলেও রেশম, তসর, গরদ, মুগা, মটকা, জামদানি, টাঙ্গাইল ও বালুচরী আজও এ দেশের অতীত গৌরবের ঝাণ্ঢা বহন করে চলেছে । 

৯. প্রশ্ন : বাংলাদেশের কামার-কুমোরেরা কী কী জিনিস তৈরি করে । 

উত্তর : বাংলাদেশের কামার-কুমোর, জেলে-তাঁতি, কৃষক-শ্রমিক বিভিন্ন পেশার লোক বাস করে । এসব পেশার লোকজন পরিশ্রমী ও উদ্যমী । 

কামারের তৈরি জিনিস : কৃষকের লাঙলের ফাল, মাঠে নিড়ানি দেয়ার কাস্তে, কাঁচি, গৃহিণীদের জন্য দা, খন্তা, কাঠ কাটার কুড়াল ইত্যাদি অনেক প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি তৈরি করে তারা মানুষের উপকার করে থাকে । 

কুমোরের তৈরি জিনিস : কুমোর গড়ে মাটির হাঁড়ি- পাতিল ও তৈজসপত্র । তারা মাটি দিয়ে ফুল, পাখি, পুতুল ও পোড়ামাটিতে ফলক তৈরি করে । ঘরের কুলঙ্গী ও দেয়াল সাজাবার কাজে ব্যবহার করা হয় পোড়ামাটির ফলক । 

উপসংহার : কামার-কুমোরের তৈরি জিনিসপত্রের কদর দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে । এসব জিনিসপত্র আমাদের ঘর-গেরস্থলির প্রয়োজনই শুধু মেটায় না, শিল্পগুণেরও ঐতিহ্য বহন করে । 

১০. প্রশ্ন : কয়েকটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নাম লিখ । 

উত্তর : কয়েকটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নাম : সবুজ শ্যামলিমায় ঘেরা বিস্তীর্ণ সমতল ভূমি ছড়িয়ে আছে বাংলাদেশের হৃদয় জুড়ে । অন্যদিকে আছে ঘন সবুজ গাছে ঘেরা পাহাড়ি টিলা । রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবনে বাস করে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষ । আমাদের দেশের কয়েকটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তা মানুষ । আমাদের দেশের কয়েকটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নাম হল – চাকমা, মুরং, মারমা, লুসাই, গারো প্রভৃতি ।

৫ম শ্রেনি,বাংলা, অধ্যায়- আমাদের এই দেশ

আস্‌সালামুআলাইকুম, ছোট্ট বন্ধুরা তোমরা সবাই নিশ্চয় ভাল আছো। আনেক পরাশোনা নিয়ে ব্যস্তা আছো। তোমাদের জন্য আজ আমি আইটি স্কুলের পোষ্ট শুরু করছি। তোমাদের পরিক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে অধ্যায় ভিত্তিক আলোচনা করব। নিশ্চই আমি তোমাদের সাহায্য করতে পারব ইনশাল্লাহ্‌........................ .............



অধ্যায় : আমাদের এই দেশ
১ম অংশ


১. প্রশ্নঃ বাংলাদেশ শহরের একটি বর্ণনা লিখ।

উত্তরঃ ভুমিকা : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা একটি বিশাল শহর । এ ছাড়া এ দেশে ছোট বড় অনেক শহর রয়েছে । অবস্থাগত ও ব্যবসায়িক গুরুত্বের কারণে শহরগুলোর মধ্যে কম বেশি পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় ।

শহরের বর্ণনা : বাংলাদেশের শহরের বিশাল অট্টালিকাগুলো ইট, কাঠ আর পাথর দিয়ে তৈরি । পিচ ও সিমেন্ট দিয়ে তৈরি রাস্তাগুলো বেশ চওড়া । পাকা রাস্তার দুপাশ দিয়ে অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে । আর রাস্তার পাশের ফুটপাত দিয়ে চলাচল করে পথচারী । শহরের মানুষ বিচিত্র কাজে ব্যস্ত থাকে । কেউ অফিস আদালতে কাজ করে, কেউ করে ব্যবসা-বাণিজ্য । শ্রমিকেরা কাজ করে কলকারখানায় ।এ ছাড়া নানা পেশার মানুষ জীবিকার জন্য শহরে এসে ভির করে । উচ্চ শিক্ষার জন্য শহরে আছে উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । জটিল রোগ নির্ণয় ও উন্নত মানের চিকিত্সার জন্য আছে আধুনিক হাসপাতাল ও ক্লিনিক । খেলাধুলার জন্য রয়েছে স্টেডিয়াম । বিনোদনের জন্য শহরে রয়েছে পার্ক ও উদ্যান । ফলে অবসর সময়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শহরের লোকজন গাছপালা ও ফুলে ফুলে সাজানো পার্কে বেড়াতে যায় ।

উপসংহার : অট্টালিকায় ঘেরা শহরের মানুষের জীবনযাত্রা খুবই ব্যস্ত । এ ব্যস্তজীবন কাটানোর পাশাপাশি বিনোদনের ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে ।



২. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের শহরে ও গ্রামে কী কী ধরনের বাড়িঘর তৈরি হয় ?

উত্তর : ভূমিকা : পরিবেশ, প্রকৃতি এবং অর্থনৈতিক কারনে শহর ও গ্রামের বাড়িঘর ভিন্ন প্রকৃতির হয়ে থাকে । ‘আমাদের এই দেশ’ গল্পে লেখক বাংলাদেশের শহর ও গ্রামের বাড়িঘরের সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন ।

শহরের বাড়িঘর : শহরে মূলত পাকা ও বহুতল বিশিষ্ট উঁচু উঁচু দালান-কোঠা তৈরি হয় । এসব দালান-কোঠা ইট, কাঠ, পাথর, বালি, রড ও সিমেন্ট দিয়ে তৈরি । কোনো কোনো বাড়িতে উন্নতমানের কাচ বা গ্লাস ব্যবহৃত হয় । থাই অ্যালুমিনিয়াম ফিটিংসের দরজা-জালানা শহরের দালানগুলোকে বর্তমানে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে ।

গ্রামের বাড়িঘর : আম, জাম, কাঁঠাল ও বাশঁবনের নিবিড় ছায়ায় ঘেরা বাংলাদেশের এক একটি গ্রাম । এ দেশের গ্রামগুলোতে রয়েছে নানা ধরনের ঘর-বাড়ি । এগুলো শহরের দালান-কোঠার মতো ইট, কাঠ ও পাথরের তৈরি নয় । গ্রামের অধিকাংশ ঘরগুলো কাঠামো কাঠ ও বাঁশের তৈরি । চাল ছাওয়া হয় ছন, খড়, গোলপাতা ও হোগলাপাতা দিয়ে । বাঁশের চঁচাড়ি, পাটকাঠি বা মাটি দিয়ে তৈরি হয় চারপাশের দেয়াল । ঘরামিরা ছন ও খড় দিয়ে ছাওয়া যেসব দোচালা, চৌচালা ঘর বানায় সেগুলো ভারি চমত্কার । বাঁশের চাঁচাড়ি, বেত ও শীতলপাটি দিয়ে তারা দেয়াল ও চালের ভেতর দিকটা সাজিয়ে তোলে । প্রায় প্রতিটি বাড়িতে থাকে ঢেঁকিঘর ও রান্নাঘর । গ্রামে টিন, কাঠ দিয়েও বাড়ি-ঘর তৈরি করা হয় । অবশ্য গ্রামে এখন ইট পাথরের তৈরি দালানও চোখে পড়ে ।

উপসংহার : শহরের ইট, পাথরে গড়া দালান-কোঠা দেখতে যেমন আকর্ষনীয়; তেমনি গ্রামের সাধারন মানুষের অল্প খরচে তৈরি ঘর-বাড়িও দেখার মতো ।



৩.প্রশ্ন : ‘নদীর সঙ্গে এদেশের মানুষের গভীর মিতালী’ - এ কথাটির অর্থ কী ?

উত্তর : ভূমিকা : বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, এ দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে বহু নদ-নদী । নদীই এ দেশের প্রাণ এবং এর বুকে লুকিয়ে আছে এ দেশের লাখো মানুষের জীবিকার উত্স । এ নদীর মাছ বাঙালির সুস্বাদ ও সহজলভ্য আমিষ জাতীয় খাদ্য । এর জলে তৃষ্ণা মিটায় গ্রামপ্রধান বাংলাদেশের কোটি কোটি দরিদ্র বাঙালি । নদীর বুকে চলে নানা রকম নৌকা, লঞ্চ প্রভৃতি । নদীপথে পণ্যসামগ্রী সুলভে এবং সহজে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে বহন করা হয় । বর্ষায় এ সকল নদ-নদীর স্রোতে বয়ে আসা পলি এ দেশের ভূমিকে করে উর্বর, কৃষকের মুখে ফুটিয়ে তোলে হাসি । নদীর তীরে তীরে গড়ে উঠেছে অনেক জনপদ । এসব জনপদে মানুষ ঘর বেঁধেছে, গড়ে তুলেছে গ্রাম-গঞ্জ ও হাট-বাজার । সর্বোপরি বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানেষের জীবনে নদী কখনও প্রত্যক্ষ আবার কখনও পরোক্ষভাবে বিশাল আবদান রাখছে । তাই ‘নদীর সঙ্গে এ দেশের মানুষের গভীর মিতালি’-এ কথাটি যথার্থ ও অর্থবহ ।

উপসংহার : নদী বাংলাদেশের মানুষের জীবনে বিশাল আবদান রাখছে । নদী নিয়ে রচিত হচ্ছে সাহিত্য, কবিতা ও গান । নদীর বহুবিধ ব্যবহার নদী আর মানুষকে এক বৃন্তে আবদ্ধ করেছে ।

৪. প্রশ্ন : নদী, খাল-বিল ও সমুদ্রে পাওয়া যায় এমন দশটি মাছের নাম লিখ ।

উত্তর : ভুমিকা : ‘আমাদের এই দেশ’ রচনাটিতে ছোট-বড় নানা জাতের অসংখ্য মাছের কথা বলা হয়েছে । ভাতের সাথে মাছ এ দেশের মানুষের প্রিয় খাদ্য ।

নদী, খাল-বিল ও সমুদ্রে পাওয়া যায় এমন দশটি মাছের নাম হল:

(১) রুই, (২) কাতলা, (৩) বোয়াল, (৪) শোল, (৫) কৈ, (৬) শিং, (৭) ইলিশ, (৮) রূপচাঁদা, (৯) কোরাল ও (১০) ছুরি ।

শেষ কথা : এ দেশের নদ-নদী, খাল-বিল ও সমুদ্রে রয়েছে মাছের প্রাচুর্য । বাংলাদেশের ইলিশ মাছ-এর স্বাদ পৃথিবী বিখ্যাত । তাই আমাদের উচিত এ মত্স্য সম্পদকে বাঁচিয়ে রাখা ।

৫. প্রশ্ন : আমাদের মাছে ভাতে বাঙালি বলা হয় কেন ?

উত্তর : ভূমিকা : প্রকৃতির রূপসী কন্যা বাংলাদেশ । এ দেশের উর্বর ভূমিরূপ ও জলজ সম্পদের প্রাচুর্যের ঐতিহ্য অনেক পুরনো । তাই আমাদের দেশের পরিচয় রচিত হয় অন্যভাবে ।

কারণ : সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা আমাদের এ বাংলাদেশ । নদী বিধৌত এ দেশের উর্বর ভূমিতে প্রচুর ফসল ফলে । বিশেষ করে ধান যেমন : পাইজাম, নাজিরশালাই, কাটারিভোগ, বালাম, বিন্নি ইত্যাদি। তাই আমাদের পরিচয় ভেতো বাঙালি হিসেবে । অন্যদিকে নদীর দেশ বাংলাদেশ । এ দেশের সাগার, নদীতে রয়েছে প্রচুর মাছ । যেমন: রূপচাঁদা, কোরাল, লাক্ষ্যা, লইট্যা, ছুরি, ফাইস্যা, রুই, কাতলা, মৃগেল, ভেটকি, চিতল, বোয়াল, শোল, কৈ, শিং, মাগুরসহ আরো নানা জাতের মাছ । এ সহজলভ্য মাছ আর ভাত আমাদের প্রিয় খাবার, স্বল্প শ্রম ও ব্যয়ে অতি সহজে এগুলো পাওয়া যায় বলে জীবন ও জীবিকার জন্য এর ওপর নির্ভরশীলতা আমাদের অনেক বেশি । আর তাই আমাদের মাছে-ভাতে বাঙালি বলা হয় ।

উপসংহার : ভাত ও মাছ বাঙালির প্রিয় খাবার । ভাতের সঙ্গে মাছ হলে বাঙালি খাবারে পরিতৃপ্তি পায় ।